বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

কর্মভেদেই জন্ম


মৃত্যু কালে মানুষ যাকে স্বরন করিতে
করিতে মৃত্যু বরণ করেন ,, তিনি তাই
প্রাপ্ত করেন !! এখন প্রশ্ন ,, তাহলে
আমরা নিয়ম - নিষ্ঠা পালন করে
ইন্দ্রিয় সংযম করে ,, সর্বদা ভগবানের
নাম করব কেন ?? মৃত্যুকালে শুধু একবার
শ্রীকৃষ্ণের নাম নেব এবং তাকে
পেয়ে যাব !!তাহলে কি দরকার
ইন্দ্রিয় সংযম ,, নিয়ম ,, নিষ্ঠা ,, ভক্তি ,,
ধ্যান ,, নিষ্কাম কর্ম করা ??
কথাটা শোনতে খুব সহজ লাগে আসলে
এটা কিন্তু অত সহজ নয় !! অভ্যাস হইতে
ধ্যান বড় ,, ধ্যান হইতে জ্ঞান বড় ,,
জ্ঞান হইতে ফলত্যাগ বড়।ইহাদের
মধ্যে ইন্দ্রীয় হচ্ছে সবথেকে
শক্তিশালী।
আমরা অভ্যাসের মাধ্যমে যে যে কর্ম
করি ,,তা ইন্দ্রিয় দ্বারা পরিচালিত
হয়।
ইন্দ্রিয় এমন একটি জিনিস যা মানুষকে
সর্বদা কাম ,, ক্রোধ ,, লোভের দিকে
অগ্রসর করে।
ইন্দ্রীয়কে সংযম না করিতে
পারিলে মনকে নিয়ন্ত্রন করা অসম্ভব
হয়ে পড়ে।
আর মনকে নিয়ন্ত্রন না করিতে
পারলে ,, ইন্দ্রীয়গুলি মনের উপর প্রভাব
বিস্তার করে ,, এবং তামসিক গুনগুলো
সর্বদা মনে আনাগুনা হইতে থাকে।
এবং ভগবানের প্রতি ধ্যান অসম্ভব হয়ে
ওঠে।
মৃত্যুকালে মানুষের মস্তিষ্ক স্বভাবতই
কমজোর হইয়া যায় এবং ইন্দ্রিয় দ্বারা
যে যে কর্ম করা হইয়াছে শুধু তাহাই
মনে আসিতে থাকে।
ধনের প্রতি মোহ থাকিলে ধনের
চিন্তা আসে ,,মানুষের প্রতি মোহ
থাকিলে শুধু তাহারই নাম মনে আসে
,, কাহারো প্রতি প্রতিশোধের স্পৃহা
থাকিলে তাহা মনে আসে ইত্যাদি
ইত্যাদি।
এজন্য সর্বদা বলা হয়েছে ,,ভালো কর্ম
কর ,,সর্বদা ভগবানের নাম কর ,,তাহলেই
না ভগবানের নাম এবং ভগবানের
প্রতিচ্ছবি তোমার ইন্দ্রিয় এবং মনে
মিশিয়া যাইবে।এবং মন ও ইন্দ্রীয়
ভগবানের দাস হয়ে যাবে ,, তখন উঠতে
বসতে ঘুমোতে বা যেকোন কর্ম কর না
কেন ,,শুধুই তার নাম মনে আসিবে।এবং
মৃত্যুকালে তুমি চাও বা না চাও প্রভুর
নাম তোমার মনে আসবেই এবং তখনই
তুমি তাকে প্রাপ্ত করিবেই।সেজন্য
বলি সর্বদা হরিনাম কর,গীতা পাঠ
কর,মনের সর্বোচ্চস্থানে শ্রীকৃষ্ণের
নাম রাখ ,, তারপর সবার নাম রাখ ,,
এতেই সবার মঙ্গল।
জয় রাধে ,, যেমন হবে যার মতি ,,
তেমনই হবে তার গতি !! এই বিষয়ে
কোনো সন্দেহ নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন